1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Karatoa School : Karatoa School
করতোয়া মাল্টিমিডিয়া স্কুল এন্ড কলেজ অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম
  • রিসেপশন
  • +88-051-65539, +8801713-228443
  • ই-মেইল
  • E-mail:[email protected]
  • অফিস: লোকেশন
  • Jamilnagar, Bogra, Bangladesh
  • জনাব মোজাম্মেল হক ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাসের ২৫ তারিখ বৃহস্পতিবার মা মসিতন্নেছার কোলে বগুড়া শহরের বাদুরতলায় জন্ম গ্রহণ করেন। ছয় ভাই চার বোনের মধ্যে তিনি হচ্ছেন তৃতীয়। বাবা জনাব আলী আজম ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। আদি নিবাস কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার রতনপুর গ্রাম। মোজাম্মেল হকের দাদা চাকুরী সূত্রে বগুড়ায় আসেন এবং দীর্ঘদিন কানছগাড়ী মসজিদের ইমামতি করেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপ্ররায়ণ ব্যক্তি। পরবর্তীতে তিনি বগুড়া শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।

    জনাব মোজাম্মেল হক কৈশব কাল থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। তার পৃষ্ঠপোষকাতায় গড়ে ওঠে ছোটদের খেলাঘর আসর এবং আমরা ক’জন শিল্পগোষ্ঠী। তিনি অনেক জ্ঞানীগুণি শিল্পী ও সাংস্কৃতিক গোষ্ঠিরর পৃষ্ঠপোশক হিসেবে কাজ করেন।

    জনাব মোজাম্মেল হক ১৯৮০ সাল থেকে “দৈনিক করতোয়ার” সাংবাদিক হিসেবে পত্রিকাটির হাল ধরেন। অনেক ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে পত্রিকাটি বর্তমানে আঞ্চলিক থেকে জাতীয় পর্যায়ে পাঠক সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। যার প্রচার সংখ্যা বর্তমানে অর্ধ লক্ষাধিক। এছাড়াও তিনি মুদ্রণ শিল্পে ১৯৭৮ সাল থেকে “ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস” এর যাত্রা শুরু করেন। প্রতিষ্ঠানটি পরবর্তীতে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও তিনি পর্যায়ক্রমে করতোয়া কুরিয়ার সার্র্ভিস নামে সারাদেশ ব্যপি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। বর্তমানে যার কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় অর্ধ হাজারেরও বেশি।

    তিনি ব্যবসার পাশাপাশি মানুষের সেবার জন্য আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাব বাংলাদেশ জেলার ১৯৭৬ সালে সদস্য পদ লাভ করেন। তার সফল নেতৃত্বের ফলে তিনি ২০০৯-২০১০ এর জেলা গর্ভনর নিযুক্ত হন। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের মধ্যে তিনিই প্রথম জেলা গর্ভনর। তিনি লায়ন্স চক্ষু হসপিটালের ২০১০-১১ এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং বেশ কয়েকবার প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসাবে সফল নেতৃত্ব দিয়েছেন।

    কম্পিউটারের অপার সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ ও বিজয় কি র্বোডের উদ্ভাবক জনাব মোস্তফা জব্বার কম্পিউটার ভিত্তিক পাঠদানের লক্ষ্যে সারা বাংলাদেশে ২০০১ সালে আনন্দ মাল্টিমিডিয়া নামে ২৫ টি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। মোস্তফা জব্বারের অনুপ্রেরনায় অনুপ্রাণীত হয়ে ও তার পাঠদানের কৌশলগত সার্বিক সহযোগিতায় জনাব মোজাম্মেল হক ২০০১ সালে আনন্দ মাল্টিমিডিয়া পরিবর্তে ৫টি কম্পিউটার ও ১৬ জন শিক্ষাথী নিয়ে করতোয়া মাল্টিমিডিয়া কিন্ডার গার্টেন স্কুল নামে জলেশ্বরীতলায় ছোট পরিসরে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সমাজের প্রতি কর্তব্য পালনের লক্ষ্যে তিনি প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর উন্নতির লক্ষ্যে অদ্যবধি প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বগুড়ার শহরের ১ম সারির প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে।